ঢাকা | মে ৩, ২০২৫ - ২:৫৩ পূর্বাহ্ন

ঈদযাত্রায় সড়কের কাজ ১৪ দিন বন্ধ রাখুন: এফবিসিসিআই

  • আপডেট: Sunday, April 17, 2022 - 6:18 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন সড়কে চলমান সংস্কার ও নির্মাণ কাজ ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৪ দিন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি-এফবিসিসিআই।

রবিবার পরিবহন ও যোগাযোগ (রেল, সড়ক ও মহাসড়ক) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ আহ্বান জানান

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, বিভিন্ন সড়কে সংস্কার ও নির্মাণ কাজ চলায় যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যায়। যা দীর্ঘ যানজট তৈরি করে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে তাই ২৭ এপ্রিল থেকে ১০ই মে পর্যন্ত সকল প্রকার সংস্কার ও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। ওই কদিন যেসব পয়েন্টে বেশি যানজট হয় সেসব স্থানে সার্বক্ষণিক হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েনেরও আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহা পরিদর্শককে শিগগিরই চিঠি পাঠাবে এফবিসিসিআই।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে মাওয়া ও আরিচায় অতিরিক্ত ফেরি ও ফেরির ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোরও আহ্বান জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি।

এসময় তিনি পদ্মাসেতুর টোল নির্ধারণে এফবিসিসিআই, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাস ট্রাক মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান।

এর আগে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ মো. আমিনুল হক শামীম যানজটে আর্থিক ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, শুধুমাত্র টঙ্গীর যানজটে যানবাহনের জ্বালানিখরচসহ দৈনিক ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। করোনায় ১৮ মাস গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, খেলাপি হওয়া এড়াতে আয় না থাকলেও ব্যাংক ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে টায়ার, টিউব ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের ওপর বাড়তি শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীর জয়কালী মন্দির ও ইত্তেফাক মোড়ে প্রতি রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেআইনিভাবে চাঁদা তোলেন। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চান তিনি।

করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাত হিসেবে গণপরিবহন খাত চিহ্নিত করে রমেশ চন্দ্র ঘোষ আগামী তিন বছর এখাতে নীতি সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন জানান। আগামী বাজেটে বাড়তি কোনো করভার আরোপ না করার দাবি জানান তিনি।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানবাহনের স্থায়ীত্ব কমে যাচ্ছে। যানজট কমাতে ও সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থাপনা, সেবার বিকেন্দ্রীকরণ, বিআরটিএকে কার্যকর করা, ফিটনেস সনদের নামে ঘুষবাণিজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান তারা।

অন্যান্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এম হুমায়ুন কবীর, ফারুক তালুকদার সোহেল, প্রকৌশলী গোলাম কবীর, জি রহমান শহীদ, বজলুর রহমান রতনসহ অন্যান্য সদস্যরা।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS