ঢাকা | সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ - ৫:২০ পূর্বাহ্ন

ভুল তথ্যে প্রতিবেদন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবো

  • আপডেট: Sunday, April 17, 2022 - 7:46 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের মানবধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদন তৈরি করায় এর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে মানবধিকার বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই এ রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে। এ রিপোর্টে অনেক কিছু আছে যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। আবার ঠিক একইভাবে যেসব সোর্স থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে সেগুলো দুর্বল। এসব তথ্য যারা অপারেট করেছেন বা করেন, আমরা নিকট অতীতে দেখেছি; তাদের একটা রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে। দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। এ বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ কোনো ইন্টারভেনশান প্রত্যাশা করে না কারও কাছ থেকে।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ওই প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরা মাঠে নেমে তদন্ত করে করেননি। তারা এটি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের নিজেদের প্রতিবেদন তৈরি করা উচিত ছিল।

বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন করেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য, বাংলাদেশের জন্য নয়।

যুক্তেরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এটি একেবারেই সত্য নয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি পুরোপুরি মিথ্যা। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রই তাদের বেসরকারি গণমাধ্যমে সরকারের পক্ষের খবর ছাপাতে বা প্রচারে বাধ্য করে।

এছাড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনের তথ্যের বিষয়ে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বা নিরাপত্তার স্বার্থেই আমাদের দেশে তল্লাশি চৌকি জরুরি।

প্রতিবেদনটি ‘অবজেকটিভ’ হওয়া উচিত ছিল মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া তথ্যও ঠিক নয়। বাংলাদেশের নির্বাচন যথেষ্ট ভালো ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়েছে। বরং যুক্তরাষ্ট্রেই তা হয় না, সেখানে মাত্র শতকরা ২৬ ভাগ মানুষ ভোট দেয়। আমাদের দেশে এখনও শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ভোট দেয়।