ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৭:২৮ অপরাহ্ন

জনশুমারি শুরু হবে ১৫ জুন

  • আপডেট: Wednesday, April 13, 2022 - 8:18 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: আগামী ১৫ জুন থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হচ্ছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এবারের কার্যক্রম ডিজিটালি করায় এটি নিখুঁত হবে। এর ফলে আগের মতো ১০ বছর পরপর জনশুমারি করার প্রয়োজন হবে না। উন্নত বিশ্বের মতো এক্ষেত্রে রিয়েল টাইম ডাটা পাওয়া যাবে।

বুধবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয় জনশুমারি ও গৃহগণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানাবেষ্টিত অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মাঠ পর্যায়ে মূল শুমারির কাজ শুরু হবে ১৫- ২১ জুন। সারাদেশে একযোগে এ কাজে ব্যবহার করা হবে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব। ওই সময়ে সাময়িকভাবে নিযুক্ত ৩ লাখ ৭৫ হাজার শিক্ষিত তরুণ তরুণী তথ্য সংগ্রহ করবে।

এবারের শুমারিতে জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম) ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করা হবে। শুমারি শেষে ট্যাবগুলো আগামী ২০২৩ অনুষ্ঠেয় অর্থনৈতিক শুমারিতে ব্যবহার করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিবিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুর‌্যে) উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে দেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার প্রতি ৫ বছর পরপর হালনাগাদ করা হবে।

প্রসঙ্গত পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী আদমশুমারি কে জনশুমারি হিসেবে অভিহিত করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। সে সময় দেশে জনসংখ্যা ছিলো ৭ কোটি ১৫ লাখ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, প্রথমবারের ডিজিটাল জনশুমারি কার্যক্রমে রবির নেটওর্য়াক ব্যবহার করা হবে। তিনি আরো জানান, তথ্যের নিরাপত্তায় পাঁচ স্তর বিশিষ্ট মনিটরিং ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ শুমারি বাস্তবায়নে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি ৬৮ টাকা ব্যয় হবে। এই খরচের পুরোটাই হবে নিজস্ব অর্থায়নে।