ঢাকা | মে ৮, ২০২৪ - ৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

শ্রীলঙ্কায় ওষুধের অভাব, করোনার চেয়েও ভয়ংকর বিপর্যয়ের আশঙ্কা

  • আপডেট: Monday, April 11, 2022 - 1:06 pm

অনলাইন ডেস্ক: ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কায় জরুরি ওষুধপত্র পুরোপুরি ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। দেশের সব হাসপাতালে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। অবস্থা এমন যে, সামান্য চেতনানাশকের অভাবে জরুরি অস্ত্রোপচারও করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এই দুরবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ না হলে দেশটিতে করোনা মহামারির চেয়েও ভয়ংকর বিপর্যয় নামতে পারে। গুনতে হতে পারে লাশের পর লাশ। খবর- দ্য গার্ডিয়ানের।

শ্রীলঙ্কা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (এসএলএমএ) বলছে, শ্রীলঙ্কা এমন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, যখন ভাবতে হচ্ছে কাকে চিকিৎসা দেয়া হবে আর কাকে দেয়া হবে না। গত মাস থেকে চেতনানাশকের অভাবে অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। এই সংকট থেকে সহসা উত্তরণের আশা দেখছে না এসএলএমএ।

খাদ্য, তেল, বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবে শ্রীলঙ্কা এখন পুরোপুরি দুর্দশাগ্রস্ত। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির ইতিহাসে এমন দৈন্যদশা আগে কখনো আসেনি।

গতকাল রোববার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে পাঠানো এক চিঠিতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুতই ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর সরবরাহ স্বাভাবিক করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। এমনকি পরিস্থিতি করোনা মহামারির চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে দেশটির সাধারণ জনগণ। হাজার হাজার মানুষ তীব্র বৃষ্টির মধ্যে আজও রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের সিফ্রন্ট অফিসের বাইরে বিক্ষোভ করছে।

এমন সংকটে গত ৪ এপ্রিল ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশটিতে মন্ত্রিসভা থেকে একযোগে ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অজিত নির্ভাদও পদত্যাগ করেন।

গত মার্চ মাস শেষে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.৯৩ বিলিয়ন ডলারে। চলতি বছর দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ ৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে ধারণা করছেন জেপি মরগান বিশ্লেষকরা।

এদিকে, ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া দেশটির অর্থমন্ত্রী আলী সাবরি জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে তিন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ দরকার শ্রীলঙ্কার।

বিরোধী দল এনপিপির এমপি অনুরা কুমারা দিশানায়েকে বলেছেন, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ছাড়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার হাতে আর মাত্র একটিই পথ রয়েছে। তা হলো পদত্যাগ করা। এটি ছাড়া আর কোনো প্রস্তাব মানতে আমরা রাজি নই। দেশের জনগণও এখন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায়। তারা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।