ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৭:০৩ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে দোকান ঘর দখল

  • আপডেট: Saturday, April 9, 2022 - 10:32 pm

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুরে উপজেলার পালশা নতুনহাটে আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তির সবজির দোকানঘর দখল করে নিয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘর দখল নিয়ে ভিতরে ও বাইরে টাঙিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এ নিয়ে পালশা নতুনহাটে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময়ে সংর্ঘষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় গতকাল দুপুরে ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পালশা নতুনহাট কমিটির থেকে ১০০ বছরের চুক্তিনামায় ৮বছর ধরে একটি ঘরে মুদি ব্যবসা চালিয়ে আসছেন আলমগীর। পাশেই আরেক দোকানে ইলেট্রনিক্স ব্যবসা করেন তাঁর ফুফাতো ভাই নাজমুল। হঠাৎ আলমগীরের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বাধে নাজমুলের। সেই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হকের নেতৃত্বে আলমগীরের সবজি দোকানঘর দখলে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টাঙিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অফিস ঘোষনা করেন ইউপি সদস্য রুবেল হক। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে।

এদিকে, শনিবার অভিযোগের ভিত্তিতে বেলা তিনটার দিকে পালশা নুতন হাটে আসেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম। এ সময় উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। দুই পক্ষের কথা বার্তার এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হক সবার উপস্থিতিতে অশ্লীল ভাষায় বলতে থাকেন- দখলে নেওয়া দোকান ঘর থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানো হলে তাঁর হাত -পা ভেঙে ফেলা হবে বলে তিনি হুমকী দেন।

পালশা নতুনহাট কমিটির সভাপতি হিরক আলী বলেন, হাট থেকে দোকানঘরটি আলমগীরের নামে লিজ দেওয়া হয়েছে। আলমগীরের বাবা সপ্তাহে দুইদিন বসেন ওই দোকানের বারান্দায়। আর তাঁর ফুফাতো ভাই নাজমুলকে মাসে ৩০০ টাকা হিসেবে ঘর ভাড়া দিয়েছে আলমগীর। হঠাৎ ফুফাতো ভাই আলমগীরের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বাধে নাজমুলের। এতে নাজমুল দেড় লাখ টাকা সিকিউরিটি আলমগীর নিয়েছে বলে দাবি করেন। এতে কোন চুক্তিনামা দেখাতে পারে না নাজমুল। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে যোগদেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ওই ঘরে তালা মেরে দখল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে দেন ইউপি সদস্য রুবেল হক। এ নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বসেও কোন ফয়সালা হয়নি।

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমার বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ দিয়েছিল। পুলিশ এসেছিল বলে ফোন কেটে দেন।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাশমত আলী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। ওখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। পালশা নতুনহাট কমিটি ও স্থানীয়দের সঙ্গে বসে বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।