ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৬:২০ পূর্বাহ্ন

অন্তরার এমবিবিএস পড়ার স্বপ্নপুরণ হবে কি?

  • আপডেট: Friday, April 8, 2022 - 10:35 pm

বাঘা প্রতিনিধি: নূন আনতে পান্তা ফুরায়, তবু প্রতিকূলতার মধ্যে জীবন সংগ্রাম চলে। মানবেতর জীবন সংগ্রামী অন্তরা খাতুন এমবিবিএস কোর্সে মেধা তালিকায় উর্ত্তীন হয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে। আন্তরার স্বপ্ন পুরণ হবে কি?

রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চন্ডিপুর বড় ছয়ঘটি গ্রামে অন্তরার বাড়ি। তার পিতা মৃত আলাউদ্দিন মাতা রসুনা বেগম। এক ছেলে ও দুই বছর বয়সী অন্তরাকে রেখে বাবা আলাউদ্দিন মারা যায়। মা দিন মুজুরের কাজ করে ছেলে ও বেড়ে উঠা মেয়েটিকে বড় ছয় ঘটি ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি করে দেন ও সংসার চালনা করেন।

২০১৩ সালে পিইসি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি নিয়ে চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে জেএসসিতে সাধারন বৃত্তি পায়। এসএসসি ২০১৯ সালে গোল্ডেনসহ জিপিএ পেয়ে পাশ করেন, ২০২১ সালে বাঘা সরকারি শাহ দৌলা কলেজ থেকে গোল্ডেন অ+পায় এবং ২০২১Ñ২০২২ শিক্ষাবর্ষে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এমবিবিএস কোর্সে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

হতদরিদ্র অন্তরার মা-ভাই দিন মজুরের কাজ করে ১টি গাভি পুষে তাকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শেখায়। চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুর রহমানসহ এলাকাবাসী বলেন মেডিকেলে পড়ানোর খরচ অনেক বেশি। কি করে মেয়েটি লেখাপড়া করবে? অসহায় অন্তরা ও তার মা লেখাপড়ার খরচের জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতা ও দোয়া চেয়েছেন।

বিষয়টি অবগত করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, টাকার জন্য লিখাপড়া ব›ধ থাকবেনা। তিনি অন্তরাকে নগদ কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেন এবং আরো সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্তরাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি আদর্শ ডাক্তার হতে চাই এবং মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।