ঢাকা | ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ - ৬:০২ অপরাহ্ন

মেডিকেলে প্রথম হওয়া মিমকে নিয়ে কাড়াকাড়ি তিন কোচিং সেন্টারের

  • আপডেট: Tuesday, April 5, 2022 - 8:18 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেছে সুমাইয়া মোসলেম মিম নামে একজন শিক্ষার্থী। আর ইতোমধ্যে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারের টানাহেঁচড়া।

বরাবরই কোচিং সেন্টারগুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী টানতে নানা ধরনের প্রচার চালায়। এর অংশ হিসেবে মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের নাম-ছবি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে অনেক।

মঙ্গলবার প্রথম স্থান লাভ করার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলো মিমকে তাদের কোচিং শিক্ষার্থী বলে দাবি করছে। প্রতিষ্ঠানের প্রচারের অংশ হিসেবে মিমের ছবিসহ ফেসবুকে শুভেচ্ছা পোস্ট দেয় তিন কোচিং প্রতিষ্ঠান।

প্রথমে রেটিনা নামে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারটি মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে মিমকে তাদের শিক্ষার্থী দাবি করে ফেসবুকে শুভেচ্ছা পোস্ট দেয়। পরে অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান উন্মেষ দুপুর ২টায় এবং তার ছয় মিনিট পর মেডিকো মিমকে তাদের নিজেদের শিক্ষার্থী দাবি করে শুভেচ্ছা পোস্ট দেয়। আর এতেই বাধে বিপত্তি। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে পোস্টগুলোতে নানা মন্তব্য করেন। প্রশ্ন উঠেছে মিম আসলেই কি কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিল? নাকি তার নাম-ছবি ব্যবসায়িক প্রচারের স্বার্থে কাজে লাগচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রেটিনা, মেডিকো ও উন্মেষ নামক মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারে যোগাযোগ করা হয়। রেটিনা মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারের অফিস এক্সিকিউটিভ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সুমাইয়া মোসলেম মিম আমাদের শিক্ষার্থী। তিনি এবার ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। আমাদের কাছে প্রোপার ডকুমেন্টস আছে তিনি যে আমাদের শিক্ষার্থী।’

আপনাদের শিক্ষার্থী হলে অন্য কোচিং সেন্টারগুলো কীভাবে দাবি করে সে তাদের এমন প্রশ্নের জবাবে নিজাম বলেন, ‘আসলে এটা একটা ব্যবসায়িক পলিসি। সবাই যার যার ব্যবসার প্রচারের জন্য এমন প্রচার চালিয়ে থাকে। যে-ই প্রথম হয় তাকে নিয়ে এমন প্রচার চালায় সব কোচিং সেন্টার।’

এ বিষয়ে মেডিকো কোচিং সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা রহমত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু পরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

উন্মেষ কোচিং সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘সুমাইয়া আমাদের শিক্ষার্থী। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডকুমেন্টস আছে। তিনি আমাদের এখান থেকেই কোচিং করেছেন। অন্যরা তাকে নিয়ে যে প্রচার চালাচ্ছে এটা অহেতুক। সবাই যার যার ব্যবসা প্রসার করতে এমন প্রচার চালিয়ে থাকেন।’

এদিকে করা সুমাইয়া মোসলেম মিমের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিক বার ফোন করা হলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি। তবে তিনি রেটিনার ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তিনি এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোচিং করেছেন।