ঢাকা | মে ৫, ২০২৪ - ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

কঠিন মহুর্তে শ্রীলঙ্কা: নজিরবিহীন ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ

  • আপডেট: Tuesday, April 5, 2022 - 12:45 pm

অনলাইন ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় খাদ্য, তেল ও বিদ্যুতের মূল্যের লাগামহীন ও ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মন্ত্রিসভার সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনরও।

মন্ত্রিসভার ২৬ জন মন্ত্রীর সবাই পদত্যাগপত্র জমা দিলেও ক্ষমতা ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং তার বড় ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে।

জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহে তীব্র সংকটের মুখে দেশজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সরকারি দলের নেতাদের বাড়ির বাইরে অনেক বিক্ষোভ হচ্ছে।

ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসে পরিবারের পদত্যাগ দাবি করে বলছেন, রাজাপাকসে পরিবার ক্ষমতা না ছাড়লে মন্ত্রিসভার পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত অর্থহীন।

ব্রিটেনের কাছ থেকে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশটি এত ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে এর আগে কখনও পড়েনি।

জ্বালানি আমদানির জন্য ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সঙ্কট বেসামাল করে তুলেছে দেশটির অর্থনীতিকে। দিনের অর্ধেক সময় বা তারও বেশি সময় বিদ্যুতবিহীন দিন কাটাচ্ছে মানুষ। খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির চরম অভাব মানুষকে মরিয়া করে তুলেছে। নজিরবিহীন ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দেশের মানুষ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় বিক্ষোভরত জনতা বলছে, রাজাপাকসে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা থামবে না।

নজিরবিহীন ‘জনতার বিপ্লব’: ক্রোধ আর হতাশা জর্জরিত এই দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষের বিক্ষোভ এখন শুধু এক ব্যক্তি বা এক পরিবারতন্ত্রকে লক্ষ্য করে। প্ল্যাকার্ডে, ব্যানারে আর মুখরিত স্লোগানধ্বনিতে তাদের একটাই দাবি- ‘গো গোটা গো’, ‘গোটা গো হোম’ (গোটা বিদায় নাও, গোটা ঘরে ফিরে যাও)।

এ মুহূর্তে ইংল্যান্ড থেকে #GotaGoHome হ্যাশট্যাগে সামাজিক মাধ্যমে এ বিক্ষোভ সংগঠিত করছেন এক প্রবাসী শ্রীলঙ্কান তরুণ- পাথুম কেরনার, বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বিষয়ে বিশ্লেষক সরোজ পথিরানা।

তিনি বলেন, ‘এ গণবিক্ষোভ নজিরবিহীন এক জনতার বিপ্লব। পাথুম কেরনার আমাকে বলেছেন, রাজাপাকসে ভাইরা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করবেন তারা জানেন, কিন্তু তারা ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তাদের এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।’

পথিরানা বলেন, এই জনতার বিপ্লবে যারা অংশ নিচ্ছেন তারা শুধু সরকার পরিবর্তন চাইছেন না, তারা চাইছেন রাজনৈতিক কাঠামো ও সংস্কৃতিতে আমূল একটা পরিবর্তন।

প্রায় আড়াই বছর আগে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলেও, পথিরানা বলছেন, ‘গোটা মন্ত্রিপরিষদ পদত্যাগ করেছে, সরকার দলীয় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এমপি ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মঙ্গলবারের পার্লামেন্ট অধিবেশনে সরকারকে তারা সমর্থন করবেন না। ফলে রাজাপাকসে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করলেও তার ক্ষমতা ধরে রাখা খুবই কঠিন হবে।’

তিনি বলেন, এবারের বিক্ষোভ ‘একেবারেই নজিরবিহীন’ এবং এ বিক্ষোভ সংগঠিত করছে শহরের শিক্ষিত তরুণ সমাজ। তাই ‘এই প্রতিবাদের ঢল সামাল দেয়া আগের মত সহজ হবে না’।

সরোজ পথিরানা বলেন, ‘এমনকী শোনা যাচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাংশ আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে। গতকালই একজন পুলিশ অফিসারের বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে এসেছে, যেখানে তিনি বলছেন- আমরাও তোমাদের পেছনে আছি। মিডিয়া এবং ওয়েবসাইট রিপোর্টেও এধরনের খবর আসছে।’

চরম অর্থনৈতিক দুরাবস্থা: দেশটির চরম অর্থনৈতিক দুরাবস্থার জন্য দেশটির বেশিরভাগ মানুষ দুষছেন বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসা বা সংক্ষেপে ‘গোটা’কে।

বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সংবাদদাতা রাজিনি ভৈদ্যনাথন বলছেন, মরিয়া মানুষ সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে পথে নেমেছে বলে জানাচ্ছে।

‘তাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে, আমাদের সবকিছু তিনি লুটেপুটে নিয়েছেন,’ প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন নাধি ওয়ানদুর্গালা, যিনি দেশব্যাপী জারি করা কারফিউ অমান্য করে স্বামী ও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তাদের সুখী দৈনন্দিন পারিবারিক জীবন কীভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

বিবিসিকে তিনি বলেন, দিনে ১৭ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই, প্রতিদিন রান্নার গ্যাস জোগাড় করতে মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে, গাড়ির পেট্রলের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এমনকী হাসপাতালে ওষুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে, স্কুলে পরীক্ষার জন্য কাগজ নেই, কিন্তু রাজনীতিকরা প্রতিদিন ঠিকই বিদ্যুত পাচ্ছেন, তাদের গ্যাস বা কেরোসিনের জন্য লাইন দিতে হচ্ছে না।’

নাধি একজন সাধারণ গৃহিনী, বিক্ষোভ, আন্দোলন করে বেড়ানো তার পেশা নয়। রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন তিনি। কিন্তু অর্থনৈতিক সঙ্কট এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছৈছে যে তার মত বহু সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে পথে নেমেছেন। সব বয়সের, সব শ্রেণি-পেশার ও সব ধর্মের মানুষকে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করেছে দেশটির নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কট।

বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করছেন।

পরিবারতন্ত্রের বেড়াজাল: শ্রীলঙ্কায় বৈদেশিক মুদ্রার চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে জ্বালানির মত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি দেশটির জন্য দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহামারির কারণে পর্যটন শিল্পও বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে, যা এ সঙ্কটের পেছনে অন্যতম বড় একটা কারণ। তবে দেশটির বহু মানুষ সঙ্কটের সময় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ব্যথর্তার জন্য অভিযোগের আঙুল তুলছে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের দিকে।

বিশ্লেষকরাও বলছেন ২০১৯ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর রাজাপাকসে বড়ধরনের কর হ্রাস ও আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মত যেসব নীতি প্রণয়ন করেছেন, সেগুলো এ সঙ্কটকে আরও গভীর করেছে। এমনকী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর কাছ থেকে সাহায্যও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান যিনি সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা থেকে ঘুরে এসেছেন, তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘এর পেছনে একটা রাজনৈতিক সঙ্কটও রয়েছে। ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ ছিল। তখন থেকে অধঃপতন হয়ে তারা এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।’ তিনি বলেন, দেশটির সর্বস্তরের মানুষের ওপর এই সঙ্কটের প্রভাব পড়েছে।

রায়হান বলছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে একটা গোষ্ঠীতন্ত্র বা একটা পরিবারতন্ত্র। রাজাপাকসের পরিবারই এই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করেন রাজাপাকসে পরিবারের চার ভাই, যাদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও তাদের আত্মীয়স্বজন আছেন আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে এবং পরিবারের অনেক সদস্য এমপি।’

ফলে দেশটির ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে এই পরিবারের বিরুদ্ধে।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কতটা বিপন্ন? বিবিসির রাজিনি ভৈদ্যনাথন বলছেন, মানুষের মধ্যে একদিকে যেমন হতাশা বেড়েছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভীতি যে সরকার তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার পথও বন্ধ করে দিতে বদ্ধপরিকর।

জনগণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে সরকার রবিবার কারফিউ জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং ‘প্রকাশ্য সড়ক, পার্ক, ট্রেন বা সমুদ্রসৈকতে’ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া জনগণের চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রেসিডেন্টের একটি বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

এরপরও নাধি ও তার পরিবারের মত শত শত মানুষ ঘরে থাকার সরকারি আদেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নামছেন বলে জানাচ্ছেন মিজ ভৈদ্যনাথন। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা বিবিসিকে বলেন, ‘এসব স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কসুলভ এবং চরম কঠোর পদক্ষেপ।’

সাজিথ বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আইন অনুযায়ী মানুষের মত প্রকাশের, প্রতিবাদ জাননোর এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কার্যকলাপের অধিকার রয়েছে। সরকার এই অধিকার লংঘন করতে পারে না।’

প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে, যিনি প্রধানমন্ত্রী পদে তার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসাকে নিয়ে দেশ শাসন করছেন, ২০১৯-এ নির্বাচন জেতার আগেও তাদের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ রয়েছে।

মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন দুই বার। আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে গোটাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে রয়েছে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে মানবাধিকার লংঘনের গুরুতর অভিযোগ। ভিন্নমত দমনে নির্মম পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দুই ভাইয়ের কুখ্যাতি রয়েছে।

অনেক বিক্ষোভকারীর আশঙ্কা শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী এই পরিবারকে ক্ষমতা থেকে হঠানো কঠিন হতে পারে। বিবিসিকে তারা বলেছেন, ক্ষমতালিপ্সু এই পরিবার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে সব কিছু করতে পারেন।

কিন্তু শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বিশ্লেষক সরোজ পথিরানা বলছেন, এবারের অভূতপূর্ব এই গণ অসন্তোষের মুখে রাজপাকসে ভাইদের জন্য ক্ষমতায় টিঁকে থাকা কঠিন হতে পারে।

তিনি বলছেন, বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ প্রেসিডেন্ট রাজপাকসের দরজার দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।

কলম্বোয় তার বাসভবনের বাইরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠেছিল। বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করতে হয়েছে। বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পথিরানা বলছেন, ‘গোটাবায়া রাজাপাকসে বুঝতে পারছেন জনগণের একটা বড় অংশের সমর্থন তিনি হারিয়েছেন। মানুষ তার সরকারি ফেসবুক পেজে অবিরত ‘গোটা গো হোম’ মেসেজ পোস্ট করার পর ওই পেজ তিনি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।’

বৃহস্পতিবারের গণ বিক্ষোভের পর দ্রুত দ্বীপরাষ্ট্রটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গ্রেপ্তার ও আটকের ঢালাও ক্ষমতা দেয়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। সরকারের যুক্তি ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ।

শনি ও রবিবার কারফিউ অমান্য করার জন্য ৬০০এর বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।

এরপরেও থেমে নেই বিক্ষোভ। প্রথমবারের মত প্রতিবাদ জানাতে কলম্বোর পথে নামা ২৯ বছরের তরুণ সাথসারা বিবিসির ভৈদ্যনাথনকে বলেন, সাধারণত সপ্তাহান্তে বন্ধুদের নিয়ে গানবাজনার গিগ বা রেস্তরাঁয় সময় কাটাতেন ও আড্ডা মারতেন তিনি। এখন সেসব বন্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় এটা। দেশে যা চলছে তাতে আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করব কীভাবে?’

প্রতিদিন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, খাবার দাবারের অগ্নিমূল্যের কারণে তার ব্যাংক ব্যালান্স তলানিতে পৌঁছেছে। দেয়ালে মানুষের পিঠ ঠেকে গেছে- বলছেন সাথসারা।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সরকার চাই যে পরিস্থিতি ম্যানেজ করতে সক্ষম। মানুষের জীবন-মরণ নিয়ে এই সরকারের আদৌ কোন মাথাব্যথা নেই।’

তরুণ বিক্ষোভকারীদের যুক্তি এখন একটাই- ‘এ সরকার অযোগ্য। দেশকে তারা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি রাখেনি। মানুষ আর কষ্ট পেতে রাজি নয়।’ সূত্র: বিবিসি।

সোনালী/জেআর