ঢাকা | অক্টোবর ১৮, ২০২৪ - ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

বেড পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি চাষ করে সফলতা

  • আপডেট: Sunday, April 3, 2022 - 9:43 pm

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার রহমতগঞ্জে বেড পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে। ঐ গ্রামের শিক্ষিত যুবক মো. রেজাউল ইসলাম ইমরানের পল্লী কানন নার্সারিতে এ পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি চাষ করে তিনি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি বেড পদ্ধতিতে সুস্বাদু এবং রসালো রাবি-৩ নামক স্ট্রবেরির ভালো ফলনে চমক দেখিয়েছেন।

রেজাউল ইসলাম জানান, স্ট্রবেরি মূলত শীত প্রধান দেশের ফল হলেও সিরাজগঞ্জে এর ফলন ভালো হচ্ছে। অন্যান্য ফলের তুলনায় স্ট্রবেরি চাষে অল্প বিনিয়োগে বেশি মুনাফা হওয়ায় এ ফল আবাদে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এখানকার উৎপাদিত স্ট্রবেরি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্ট্রবেরি কিনতে আসা শহরের পাইকার লাল মিয়া বলেন, আগে অন্য জেলা থেকে স্ট্রবেরি আমদানি করতাম। পরিবহন খরচ দিয়ে দাম বেশি হতো। এখন নিজ এলাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। ফলের কোয়ালিটি অনেক ভালো। দাম অনেক কম। পল্লীকানন নার্সারির কর্মচারী আলী হোসেন বলেন, প্রায় চার বছর হলো এই নার্সারিতে কাজ করছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের চারা বিক্রি হয়। তবে স্ট্রবেরি চাষ করার পর থেকে আমাদের পরিশ্রম দ্বিগুণ বেড়েছে। চুরির ভয়ে রাত জেগে পাহারা দিতে হয়।

পল্লী কানন নার্সারির মালিক মো. রেজাউল ইসলাম ইমরান বলেন, গত দুই বছর হলো স্ট্রবেরি চাষ করছি। এবার চার বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি আবাদ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৮ লাখ টাকা। প্রথম পর্যায়ে প্রতি কেজি স্ট্রবেরি পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১০০০-১১০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। প্রতি দিন সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে খেত থেকেই পাইকাররা স্ট্রবেরি নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু জাফর মো. আহসান শহীদ সরকার জানান, সদর উপজেলার রহমতগঞ্জে পল্লীকানন নার্সারিতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের চারা বিক্রির পাশাপাশি স্ট্রবেরি চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলায় এর আগে কোনো নার্সারি বা কৃষি জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়নি। গত ৩/৪ বছর হলো স্ট্রবেরি চাষ শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় ৯-১০ জায়গায় কৃষি জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করা হয়েছে। স্ট্রবেরিতে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে আরো বেশি স্ট্রবেরি চাষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।