দীঘি দখল নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন
বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নের মুগাইপাড়া গ্রামের একটি দীঘির দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ৫টি মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় মাসুদ বাহিনীর প্রধান মাসুদ রানা এবং সরদার গ্রুপের প্রধান সরদার জান মোহাম্মদসহ তিনজন গ্রেফতারও হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একে অপরের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছে বলে দুই গ্রুপের পক্ষ থেকেই পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার মুগাইপাড়া বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় আ.লীগ নেতা মাসুদ রানা দাবি করেন, গ্রামের একটি দিঘি দখলে নিতে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদ নিজেই ওই দিঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছেন এবং তাঁকে ফাঁসাতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করানো হয়েছে। ওই মামলায় তাঁর পক্ষের আরও ১৯ জনকে আসামি করে হয়রানী করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
অপরদিকে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মুগাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লায়েব উল্লাহ দাবি করেন, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। ১৪ বছর আগে অবসর নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৩ বছর। কিন্তু এই বৃদ্ধ বয়সে একটি মিথ্যা মামলায় জেলে যেতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সরদার জান মোহাম্মদকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছেন তিনি। এ কারণে আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপের ইন্ধনে তাঁর বিরুদ্ধে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে। এ মামলায় তিনি জামিন পেলেও তাঁর নেতা জান মোহাম্মদ এখনো কারাগারে রয়েছেন।
এ মামলা ছাড়াও তাঁর ছেলে মারুফ হাসানসহ তাঁর ১৫ জন আত্নীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে মাসুদ গ্রুপের পক্ষ থেকে আরও ৩ টি সাজানো মামলা করা হয়েছে। দিঘির দখলকে কেন্দ্র করে সরদার জান মোহাম্মদের সঙ্গে জড়িয়ে মামলাগুলো করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।