ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

নিজের জন্মদিন মনে থাকে না ঋত্বিকের

  • আপডেট: Friday, April 1, 2022 - 1:59 pm

অনলাইন ডেস্ক: অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর জন্মদিনে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন তার স্ত্রী অপরাজিতা ঘোষ। গতকাল ছিল তার ৪৪তম জন্মদিন। এদিন আন্দবাজার অনলাইনে অপরাজিতা ঘোষের অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে।

অপরাজিতা ঘোষ বলেন, ‘ঋত্বিক নিজে কিন্তু বড্ড ভুলো! নিজের জন্মদিনটাই ভুলে যায় বেমালুম। অন্যদের জন্মদিন তো কথাই নেই! ভুলে যায় বলেই ওকে সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দেয়া ভীষণ সহজ! ইদানীং অবশ্য একটু-আধটু খেয়াল রাখে ইন্টারনেটের কল্যাণে। সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে শুভেচ্ছাবার্তা এসে পড়ে। তবু ভুলে যাওয়ার স্বভাবটা যে বিশেষ পাল্টেছে, এমন নয়!’

তিনি আরও বলেন, ‘নয় নয় করে কুড়ি বছর হয়ে গেল আমরা একসঙ্গে। বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে, সংসার সব মিলিয়ে। আমরা দু’জনেই ভীষণ ঘরোয়া। যেকোনো বিশেষ দিন মানে আমাদের কাছে এক্কেবারে নির্ভেজাল, নিজেদের মতো করে, নিজেদের সঙ্গে কাটানো একটা সময়। আসলে আমি বা ঋত্বিক দু’জনেই বিশ্বাস করি, দেখা হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকটা দিনই আমাদের কাছে এক একটা উদযাপন। তার মধ্যে জীবনের এই বিশেষ দিনগুলো একটু আলাদা, এই যা।’

অপরাজিতা বলেন, ‘আসলে দিনটা একসঙ্গে কাটানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেটা এবার হয়ে উঠল না। কারণ ঋত্বিক আউটডোরে, বর্ধমানে। ও যে দিন বাড়ি ফিরবে, সে দিনই জন্মদিন। মনের মতো কিছু একটা রান্না করব। একটা কেক কাটা হবে। মনের মতো উপহার। ব্যস! পান্ত, মানে আমাদের ছেলে ওকে কার্ড কিংবা নিজের হাতে আঁকা চার-পাঁচ পাতার কমিকস স্ট্রিপ তৈরি করে দেবে। সেটাই আমাদের উদযাপন। নিজেদের মতো।’

তিনি বলেন, ‘নিজে মা হওয়ার পর থেকে একটা জিনিস উপলব্ধি করি। জন্মদিনটা আসলে শুধু সন্তানের নয়। সে দিনটা মায়েরও। তিনিই তাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। এক জন নারীর মা হিসেবে জন্মও তো সেই দিনেই। তাই জন্মদিনটাও একাধারে দু’জনেরই হওয়া উচিত। ঋত্বিকের মাকে দেখেছি, কী অসম্ভব যত্ন করে দুর্দান্ত একটা পায়েস বানাতেন এই দিনটায়। সেটাই ছিল তার উদযাপন। দু’দিন আগে থেকে শুরু হয়ে যেত, ‘মিছরি আনতে হবে, বাতাসা আনতে হবে’! আমরা খেপাতাম, চাল-চিনি দিয়েই তো পায়েস হতে পারে। এ সব কী হবে? উনি বলতেন, না হবে না, ওগুলো চাই। তার পরে তো এক্কেবারে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়ে অন্য সব রান্নার আগে পায়েস তৈরি হত। কারণ, মা বলতেন, অন্য রান্নার স্বাদ-গন্ধ নাকি উড়ে উড়ে পায়েসে গিয়ে পড়বে। তাতে পায়েস ভালো হবে না! আর সত্যিই! যে পায়েসটা হত, তার স্বাদের তুলনা নেই।’

‘মা নেই আর। সেই পায়েসও নেই। আমি পায়েস বানাই। কিন্তু ওই স্বাদ, ওই যত্ন আমি কোনও দিনও ফিরিয়ে দিতে পারব না। মা-ছেলের সেই উদযাপনটা শেষ হয়ে গিয়েছে বরাবরের মতো।’

সোনালী/জেআর