সেচের পানি দেওয়ায় গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা: কৃষিসচিব
অনলাইন ডেস্ক: সেচের পানি দেওয়ায় গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিসচিব এ কথা বলেন।
‘রাজশাহীতে সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা’ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করার জন্য গত রবিবার চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এ কমিটি ইতোমধ্যে রাজশাহীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তকাজ শুরু করেছে। সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ উদঘাটন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
এ বিষয়ে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ ও কৃষকের বিষপানের বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ কমিটি ইতোমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে। সেচের পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পুলিশও তদন্ত করছে, তারা ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে কৃষিসচিব বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কৃষক ও ভোক্তা- উভয়ের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। এখন পর্যন্ত কৃষক পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছে। অন্যদিকে, সামনে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে, সেটিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তাই, আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে আমরা নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি, কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি। মোট বরাদ্দ তিন হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০%, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে ৫% বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩৫%।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।