ঢাকা | নভেম্বর ১৬, ২০২৪ - ৭:০১ অপরাহ্ন

তাপদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি

  • আপডেট: Tuesday, March 29, 2022 - 10:55 pm

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহী অঞ্চলে চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ফসলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। সেই সঙ্গে দীর্ঘ দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দুর্গাপুর উপজেলায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি। এতে আমের ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন পড়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

উপজেলায় এবার গোপাল-ভোগ, সূর্যাপুরী, আম্রপালী, ল্যাংড়া, আসিনিয়া, ছাতাপড়া, ফজলী চিনি, ফজলী সুরমাই, মসরকর্তি, মিশ্রীদানা, লখনা এবং দেশীয় জাতের আমের সমারোহে ভরে গেছে। এই উপজেলার একটি পৌরসভা ৭টি ইউনিয়নে যে দিকে চোঁখ যায় শুধু আমের মুকুলে গুটির সমারোহ।

সরেজমিন ঘুরে আমচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় বাগান গুলোতে এবার আম গাছের ডালে মুকুল এসেছিল। গত বছর অনেক গাছে এবার মুকুল দেখা না গেলেও এবছর কোন আমগাছই মুকুল আসা বাদ যায়নি। এখন সব আমগাছেই মুকুল ঝরে পড়ে বেধেছে আমের গুটি। খরা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আমের গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। বৃষ্টিপাত না হলে এ বছর আমের ভাল ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে। এছাড়াও আমের উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের আম ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা বাড়ছে। খরায় আমের গুটি শুকিয়ে হলুদ ফ্যাকাসে রং ধারণ করছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। ফলে আমের বোটা শুষ্ক হয়ে গুটি ঝরে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই আমের গুটি গুলো টিকে যাবে। আমেরও ভাল ফলন হবে। এবার আম বাগানে যে পরিমান মুকুল এসে ছিল তা পর্যাপ্ত পরিমাণ গুটি ছিল। খরার কারণে আমের গুটি ঝরার সংখ্যা দিন দিন বেশি হচ্ছে।

উপজেলার আমগ্রামের সফল আমচাষি নূর হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে আমের ফলন বিপর্যয়ের বড় কারণ হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী খরা। বর্তমানে প্রচন্ড তাপ-খরার কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। এছাড়াও আমের বোটা শুকিয়ে যাওয়ায় পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে আমের গুটি আকৃতি অনেক ছোট মনে হচ্ছে। একটু বৃষ্টিপাত হলেই আমের গুটি টিকে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, এই উপজেলায় পতিত এবং আবাদি জমি দিয়ে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দেড় লাখ মেট্রিক টন। এখন চৈত্রের মাঝামাঝি চলছে। আবহাওয়া প্রচন্ড তাপদাহ অব্যহত থাকলে আমের ফলন কম হতে পারে। এই খরায় আমের গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিলে অনেক আম রক্ষা হবে।