পাঁচ দিন আগে অস্ত্র সরবরাহ, দুই দিনের চেষ্টায় মিশন সফল
অনলাইন ডেস্ক: দুই দিনের চেষ্টায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার মিশন সফল করে খুনি। এজন্য অস্ত্র সরবরাহ করা হয় ঘটনার পাঁচ দিন আগে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় নিহত হন শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গুলিবর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে এনেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ রবিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মধ্যবয়সী এই অভিযুক্তকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। তার নাম মাসুম ওরফে আকাশ।
এদিন বেলা দেড়টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার জানান, মাসুম মোহাম্মদ আকাশ (৩৪) চাঁদপুরের মতলব উপজেলার স্কুল শিক্ষক মোবারক হোসেন ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। ঢাকায় ৬০/১৫ , পশ্চিম মাদারটেকে থাকতেন তিনি। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মাসুমের গুলিতে নিহত হন দুই জন। ঘটনার পর অভিযুক্ত জয়পুরহাট হয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন- এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বগুড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাসুম ওরফে আকাশ টিপুকে হত্যার পাঁচ দিন আগে অস্ত্র পান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। আর টিপুর নাম পান ঘটনার তিন দিন আগে। দুই দিনের চেষ্টায় হত্যা মিশন সফল করেন আকাশ।
এদিকে হত্যার ঘটনায় গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার মতিঝিল এজিবি কলোনিতে গ্রান্ড সুলতান নামের রেস্টুরেন্টে কাজ শেষে বাসার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা টিপুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিতে টিপুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়াও তার গাড়ি চালক আহত হন।
এসময় টিপুকে বহনকারী গাড়ির পাশে থাকা রিকশারোহী কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। জখমিদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার।