ঢাকা | ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ - ৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল

  • আপডেট: Sunday, March 27, 2022 - 5:52 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় রায় ঘোষনার দিন আগামী ১৩ এপ্রিল ধার্য্য করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিন কারাগারে আটক আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদ। হামলাকারীরা তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি ২২ দিন চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় ব্যাংককে। সেখানেও ৪৮ দিন চিকিৎসা নেন তিনি। তারপর ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান।

এ ঘটনায় হামলার পরদিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। এছাড়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

হামলার তিন বছর নয় মাসের মাথায় ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেন।

এরপর ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর এই মামলার বাদী মো. মঞ্জুর কবির মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। পরে বিচারক ২০ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে জেএমবির সূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ বর্তমানে কারাগারে আছেন।

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রিজনভ্যান থেকে এই মামলার ৩ আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গীরা। তাদের মধ্যে ২ জন সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ পলাতক। এছাড়া রাকিব ওইদিন রাতে ধরা পরে এবং পরে ক্রস ফায়ারে নিহত হয়।