ব্যবসায়ীর পণ্য মজুদে কারণ খুঁজে পাননি পরিকল্পনা মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক: দেশে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর পণ্য মজুদ করা নিয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, রোজার মাস এলে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্য মজুদ শুরু করে। তারা কেন এমন করে? এর কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজে পায়নি।’
তবে আগেকার দিনে পণ্য মজুদ করার সংস্কৃতির বিষয়টি টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় পণ্য সরবরাহে অপ্রতুলতা ছিল। তাই মানুষ পণ্য মজুদ করে রাখত। সেখান থেকে তাদের মধ্যে পণ্য মজুদের সংস্কৃতি ঢুকে গেছে।’
তবে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় পণ্য সরবরাহের চিত্র পাল্টে গেলেও কিন্তু পণ্য মজুদের অভ্যাসের পরিবর্তন হয়নি বলেই মনে করেন সরকারের এই মন্ত্রী।
ভোক্তা অধিকার সম্মেলন-২০২২ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী একথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে কনশাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)।
দেশে সচেতন ভোক্তা সমাজের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘সচেতন ভোক্তা সমাজ আমাদের দরকার। এই মুহুর্তে আমাদের জনগনের সামনে অনেক সমস্যা আছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এছাড়া জনগণ যে মূল্যে পণ্য কিনছে সেটির মান ঠিক আছে কি-না তাও দেখার বিষয়। সুতরাং পণ্যের মান এবং মূল্য পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি করতে হবে।’
দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে এখনো হাহাকার আছে উল্লেখ করে মান্নান বলেন, ‘যেটা সুইজারল্যান্ড বা ডেনমার্কের নেই। আমরাও ধীরে ধীরে সেদিকে যাচ্ছি। আমাদের উৎপাদন বাড়ছে, আগামীতে আরো বাড়বে বলেই আশা করছি।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সবচেয়ে বড় সমস্যা জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম তরতর করে বাড়ছিল, সরকারের পদক্ষেপের পর এখন কমছে। এখন এটাকে একটি টেকসই অবস্থায় নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম. সফিকুজ্জামান, পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব কবীর মিলন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।