আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে । মেরাজুল ইসলাম মেরাজ রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ্ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত রাকিব সরকারের ছেলে।
এদিকে এই সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকায় একের পর এক মারপিট ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে উপজেলায় আক্কাছ সমর্থিত অ‘লীগের নেতাকর্মিদের মাঝে গ্রেপ্তার আতংক বিরাজ করছে। সেই সাথে উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে মারপিটে আকুল হোসেন ও রতন আলী নামের দুইজন আহত হয়েছে।
উপজেলার নারায়নপুর বাজারে ও কিশোরপুর গ্রামে এই পৃথক মারপিটের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর ছোট ভাই আকুল হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আরেকজন রতন আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যান মেরাজের বাড়িতে ও তাঁর বাড়ির পাশে কিশোরপুর পদ্মা নদীর ধারে দর্শনার্থীদের বসার বাঁশের তৈরি গোলঘর আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়ার হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকরা আ.লীগের সম্মেলনের মঞ্চের সামনে আক্কাস ভাই আক্কাস ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সমর্থকরা। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। সোমবার রাতে এই মামলা দুটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ২ নম্বর আসামী। তাঁকে জেলা ডিবি পুলিশ রাজশাহীর শিরোইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে শুনেছি। তবে সম্মেলনে পরে অন্যকোন ঘটনার বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।