ঢাকা | অক্টোবর ২৩, ২০২৪ - ১১:০১ পূর্বাহ্ন

অংশগ্রহণমূলক ভোটের জন্য বিশিষ্টজনদের সহযোগিতা চান সিইসি

  • আপডেট: Tuesday, March 22, 2022 - 7:43 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য পেশাজীবীদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে, গণতন্ত্র সুসংহত করতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এ জন্য বিশিষ্টজনদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দফা সংলাপে আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সহযোগিতা চান।

আজকের সংলাপে ৩৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক কে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল তবে সংলাপে এসেছেন ১৯ জন।

আমন্ত্রিতদের মধ্যে উপস্থিত হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মোস্তাফিজুর রহমান, আলী ইমাম মজুমদার, আব্দুল লতিফ মণ্ডল, মহিউদ্দিন আহমেদ, সিনহা এম সাঈদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ফরাসউদ্দিন, সাবেক সচিব আবু আলম, ইফতেখারুজ্জামান, খুশী কবির, সঞ্জীব দ্রং, রুবায়েত ফেরদৌস ও শাহীন আনাম।

গভর্ন্যান্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের জহিরুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান ও সাবেক সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ পরে সংলাপে যোগ দেন। এর পরে আসেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম শামীম রেজা।

সংলাপে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আহসান হাবিব খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শতভাগ সফলতা কখনও সম্ভব না জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের আলাপের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কেউ বলেছেন এটা যদি ৫০ শতাংশ বা ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এটাও একটা বড় সফলতা

দেশের নির্বাচন নিয়ে বিবর্তনটা ইতিবাচক হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সহিংসতা ব্যাপকতা লাভ করে। এটা হলে পরে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভোট দিতে পারে না। আপনারাও বলেছেন, সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে।’

‘এটা সত্য কথা আমাদের সাহস থাকতে হবে। সাহসের পেছনে থাকতে হবে সততা। আমাদের হারানোর কিছু নেই। পাওয়ার কিছুও নেই। জীবনের শেষ প্রান্তে আমরা ইতিবাচক যদি কিছু করতে পারি, আপনাদের সাজেশনের আলোকে নির্বাচনটা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায় সবার অংশগ্রহণে, সেটা একটা সফলতা হতে পারে।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর বিপক্ষে অনেকেই বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটার মধ্যে কোনো অসুবিধা আছে কি না, এটা ব্যবহারে অনেকেই অভ্যস্ত নয়। মেশিনের মাধ্যমে কোনো ডিজিটাল কারচুপি হয় কি না, পৃথিবীর অনেক দেশ ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে, কেন করলো সেটা গবেষণা করা উচিত।’

ইভিএমে রিকাউন্টিং প্রবলেম আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো কারচুপি হয়ে থাকে, তাহলে রিকাউন্টিং করা যাবে কি না, এটার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না, এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করে একটা ধারণা নিতে হবে।’ নির্বাচনে যাতে ধর্মের ব্যবহার না হয়, সেটাও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো বলে যোগ করেন তিনি।

ভোটের আগে এবং ভোটের পরে ভোটারদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘ভোটার সেন্টারে যেতে পারবে কি না? ভোটার তার সেন্টার থেকে বের হয়ে নিরাপদ কি না? ওসি-ডিসিদের মাধ্যমে ওই জায়গাটা দেখতে পারলে ভালো হয়।’

নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধানের অভাব নেই। কিন্তু এনফোর্সমেন্টের ঘাটতি আছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট ক্যাপাসিটিটা আরও বর্ধিত করতে পারি কি না?’

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের তৈরির চেষ্টা করবেন বলে বিশিষ্টজনদের আশ্বাস দেন সিইসি।