ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১১:৫৬ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ঘাতকদের শাস্তি দাবি

  • আপডেট: Tuesday, March 22, 2022 - 11:36 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যবসায়ীর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নিউমার্কেটের সামনে তারা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে এলাকাবাসী ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারও। এর আগে সোমবার রাতে নিউমার্কেটের সামনে ফুটপাতে নিজের দোকানেই ছুরিকাঘাতে নিহত হন রিয়াজুল ইসলাম (২৩) নামের ওই স্যান্ডেলের দোকানী। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই নিহত রিয়াজুলের বাবা মধু মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি পাঁচজন। তারা হলেন- নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার সাঈদ শেখের ছেলে রানা শেখ (৩০) ও রনি শেখ (২৬), রতনের ছেলে নাঈম (২৬), গৌরহাঙ্গা এলাকার আনুর ছেলে রিমন (২৪) ও দড়িখড়বনা এলাকার হাসুর ছেলে নাঈম (৩৫)। এর মধ্যে ষষ্ঠীতলা এলাকার নাঈমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয়রা জানান, নিউমার্কেট সংলগ্ন ষষ্ঠীতলা এলাকার রিয়াজুল ও তার ভাই রিংকু ফুটপাতে দোকান চালাতেন। রানা ও রনি নিজেদের তাতী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে দুই ভাইকে কিছুদিন ধরে ফুটপাত থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছিলেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে দোকানে গিয়েই রিয়াজুল ও রিংকুর ওপর হামলা করা হয়।

ঘটনার পর দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ছুরিকাঘাতে আহত রিংকু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে রিয়াজুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ষষ্ঠীতলায় লাশ আসার পর স্থানীয়রা লাশ নিয়েই বিক্ষোভ করেন।

পরে মিছিল নিয়ে তারা নগর ভবনের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে এলাকাবাসী আসামিদের ফাঁসির দাবিতে নানা শ্লোগান দেন। শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী অভিযুক্তদের ছবি সম্বলিত পোস্টারও সাঁটিয়েছেন। তবে পুলিশ এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রানা ও রনি ফুটপাত থেকে দুই ভাইয়ের দোকান উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছিল। আর হামলায় আঘাতটি করেছিল নাঈম। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যরা ঘটনার পরই পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।