বাঘায় আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষে পৃথক দুটি মামলা
বাঘা প্রতিনিধি: বাঘায় আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। সোমবার রাতে এই মামলা দুটি করা হয়েছে। এই মামলায় শাওন হোসেন নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সমর্থকরা আ.লীগের সম্মেলনের মঞ্চের সামনে আক্কাছ ভাই আক্কাছ ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সমর্থকরা। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় নবনির্বাচিত উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
অপর দিকে বাঘা থানার পুলিশ বাদি হয়ে ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করা হয়েছে। এই মামলা দুটির প্রধান আসামী করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীকে।
এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে বিনা উস্কানীতে প্রবেশ করে আক্কাছ আলী ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করেন। আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতার সামনে অনেক নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত করেন। এ ঘটনায় মামলা করেছি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, সম্মেলন আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চের সামনে এগিয়ে যাই। আমাকে কোন সম্মান না করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লোকজন বাধা দেন। এতে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। চলে আসার পরে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। আমিও আইনী ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের একটি পিকআপ গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ ও আশরাফুল ইসলাম বাবুল বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শাওনকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।