এম এম মামুন, মোহনপুর থেকে: রাজশাহী অঞ্চলে চারা জাতের নতুন পেঁয়াজ বাজারজাত করার আগ মুহূর্তে ভারত থেকে আমদানির ফলে কমছে পেঁয়াজের দাম। রাজশাহী ও নাটোরের পাইকারি বাজারগুলোতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। এতে লোকশানের মুখে পড়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি করেছেন।

গত সপ্তাহ থেকে নাটোরের হাটবাজারগুলোতে চারা জাতের নতুন পেঁয়াজ বাজারজাত শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকায়।

কৃষকদের অভিযোগ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমাদানির ফলে দাম কমেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ৩০ টাকা খরচ হলেও বর্তমান দামে কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনছেন বলে দাবি কৃষকদের। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাবেন বলে জানান কৃষকরা। আর ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধে দাবি করেন কৃষকরা। অন্য কৃষকদের মতো নাটোরের ব্যবসায়ীরাও জানালেন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ফলে বিভিন্ন জেলায় চাহিদা কমেছে। এতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম।

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৬ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে প্রায় ১৭ হাজার ৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার প্রায় ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।