ঢাকা | মে ৭, ২০২৪ - ১:২১ অপরাহ্ন

শান্তি চাইলে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছেন কেন, প্রশ্ন রাশিয়ার

  • আপডেট: Sunday, March 20, 2022 - 1:10 pm

অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর রোববার (২০ মার্চ) ২৫ দিনের মতো যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে।

ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে বিলম্ব করার জন্যও পাশ্চাত্যকে দায়ী করেছে।

পার্স টুডে জানায়, রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার চেয়ারম্যান ভ্যাজিস্লাভ ভোলোদিন তার ব্যক্তিগত টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনের কাছে সমরাস্ত্র পাঠিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেওয়ার পর ভোলোদিন এই হুঁশিয়ারি দেন।

দুমার চেয়ারম্যান বলেন, ‘ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে যাচ্ছে। এসব দেশের সরকারগুলোর সম্মতিতে ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ভাড়াটে সেনাদের আমদানি করা হচ্ছে।

কাজেই যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার সহকর্মীরা শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান, তখন তাদেরকে নিজেদের থেকে শুরু করতে হবে। ইউক্রেন পরিস্থিতি বিশেষ করে দেশটিকে নিরস্ত্র ও নাৎসিমুক্ত করার কাজে যদি বিলম্ব ঘটে তার দায় সম্পূর্ণ তাদের। ইউক্রেন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ দেশে পরিণত হোক তা তারা চায় না’।

ভোলোদিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যদি সত্যিই শান্তি চাইত, তাহলে তারা ইউক্রেনে সমরাস্ত্র না পাঠিয়ে মানবিক ত্রাণ পাঠাত। টেকসই শান্তি চাইলে জাতিসংঘকে দ্বৈত নীতি পরিহার করতে হবে।

দুমার চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি আপনারা অনতিবিলম্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে অবশ্যই ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা পাঠানো বন্ধ করতে হবে’।

সোনালী/জেআর