রাবির ৪৩ সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন গুণীজন সংবর্ধনা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন রাবির সাবেক ৪৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে করেছে। গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ৪৩ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করেন।
এ্যাসোসিয়েশনের আহ্ববায়ক নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম।
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- শহীদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রফেসর জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, হাসান আজিজুল হক, যতীন সরকার, সেলিনা হোসেন, মহাদেব সাহা।
একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- মমতাজ উদদীন আহমদ, জিয়া হায়দার, অধ্যাপক মুহম্মদ শামস-উল হক, অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, অধ্যাপক মজিবর রহমান দেবদাস, কবি ওমর আলী, গোলাম আরিফ টিপু, হালিমা খাতুন, ডা. আ. আ. ম. মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার), ড. গোলাম মুরশিদ, এস এম আব্রাহাম লিংকন, ফরিদা পারভিন, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া।
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ড. মযহারুল ইসলাম, কবি আতাউর রহমান, বদরউদ্দিন উমর, আবদুল হাফিজ, কবি আবুবকর সিদ্দিক, অধ্যাপক আলী আনোয়ার, সুশান্ত মজুমদার, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, অধ্যাপক খোন্দকার সিরাজুল হক, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, জাকির তালুকদার, মাসুম রেজা, মামুন হুসাইন, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, স্বরোচিষ সরকার, রতন সিদ্দিকী, ইমতিয়ার শামীম, আনজীর লিটন, রফিকুর রশীদ, আমিনুর রহমান সুলতান, মো. জাহাঙ্গীর আলম শাহ ও অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সশরীর উপস্থিত ছিলেন সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, এস এম আব্রাহাম লিংকন, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, জাকির তালুকদার, মাসুম রেজা, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, স্বরোচিষ সরকার, রতন সিদ্দিকী, ইমতিয়ার শামীম, আনজীর লিটন, রফিকুর রশীদ, আমিনুর রহমান সুলতান, মো. জাহাঙ্গীর আলম শাহ ও অধ্যাপিকা হোসনে-আরা বেগম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জ্ঞানকেন্দ্র। প্রায় ৭০ বছরে ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার এক সেন্টার অব এক্সেলেন্সে পরিণত করতে চাই। এজন্য এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনও দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা সে ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সংবর্ধনা শেষে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়।