ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/02/109517753_8f14ff06-8dd7-4dd9-b406-7777a4dbca90.jpg)
অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন (৯) হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া খালাস পেয়েছেন তিনজন।
আজ রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. নাহিদ (২১), সাদ মিয়া (২২), আহম্মদ আলী (৫৫), মো. সিরাজ মিয়া (৪৫), সেন্টু মিয়া (২৫), খোরশেদ আলম (১৮) ও সালমা বেগম (৫২)।
নিখোঁজের নয় দিন পর ২০১৩ সালের ১৩ জুন ফতুল্লার বক্তাবলীর চর রাধানগরের ধইঞ্চাখেত থেকে ইমনের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ সালমা বেগম ও মামুন নামের দুজনকে গ্রেফতার করে। ইমনের বাবা ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান আলী নয়জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
সেসময় মামলার প্রধান আসামি নাহিদকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ জানায়, দুই বছর আগে ঝগড়াঝাঁটির জের ধরে ইমনের বড় ভাই ইকবাল লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার বড় চাচা আহম্মদ আলীর মাথা ফাটিয়ে দেন। এ ঘটনায় শালিসে ইকবালকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়। কিন্তু আহম্মদ আলীর পরিবার শালিস না মেনে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ইমনের বাবা রমজান বড় ছেলে ইকবালকে বিদেশে পাঠিয়ে দেন।
এরপর ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন তার চাচি সালমা বেগম (নাহিদের মা)। পরে নাহিদসহ অন্য আসামিরা ইমনকে গলা কেটে হত্যা করেন। তারা লাশ কেটে নয় টুকরা করে ধইঞ্চাক্ষেতের ভেতর পুঁতে রাখেন। পরে তারা রক্তমাখা নৌকা, চাকু ও চাপাতি পানিতে পরিষ্কার করে যার যার বাড়িতে চলে যান বলে স্বীকার করেন প্রধান আসামি নাহিদ।
সোনালী/জেআর