ঢাকা | মে ৭, ২০২৫ - ৪:৫৫ অপরাহ্ন

রেল সেতুতে পড়ে ছিল ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ

  • আপডেট: Thursday, March 17, 2022 - 7:29 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: পাবনার জেলার পাকশি সেতু থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মাহাবুব আদর। পুলিশের ধারণা, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত মাহাবুবের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার সদর ইউনিয়নে। থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১০০৬ নাম্বার কক্ষে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, মুহসীন হল প্রাধ্যক্ষ ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে থানার ওসি।

জানা যায়, বাবা মার একমাত্র সন্তান ছিলেন মাহবুব আদর। তিনি কুষ্টিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেনের ওঠে ছাদে যাত্রা করেন। পরে পাবনার জেলার পাকশি সেতুর ওখানে রেলিং-এর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছাদ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নিহত শিক্ষার্থী মাহবুব আদরের মৃত্যুর ঘটনাটি ১৭ মার্চ রাতের যেকোনো সময়ে হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পাবনা এলাকার পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি মো. মনজুর আলী। তিনি বলেন, সকালে স্থানীয়দের তথ্যের পরে আমরা সেতুতে একটি লাশ পাই। পরে তার মোবাইল থেকে জানতে পারি তার বাড়ি জয়পুরহাটে এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি জানাই। এর পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে লাশটি পাঠানো হয়। নিহতের আত্মীয়-স্বজন এলে লাশ নিয়ে যেতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা মাহবুব আদর নামের এক শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরেছি। আমরা সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছি। পরিবারের সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কোনোরকম সাহায্য লাগলে আমরা প্রস্তুত আছি।

মাহবুবের নিহতের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে হারাবো ভাবতে পারছি না।

শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা সকালে মাহবুবের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এর পরে সেখানকার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করছি। তার হল ও বিভাগ থেকে বন্ধু ও প্রতিনিধিদল সেখানে রওয়ানা করেছে। এখনো পৌঁছাতে পারেনি।

মাহবুবের এরকম হঠাৎ চলে যাওয়ায় তার সহপাঠীরা ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তার হলের রুমমেট মো. রাহাত শিকদার বলেন, মাহাবুব খুবই ভালো একজন ছেলে ছিল। সে সবসময় খুবই মিশুক, হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত থাকত। তার এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না। দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS