মেডিকেলে রেকর্ডসংখ্যক ভর্তিচ্ছু, প্রতি আসনে লড়বে ৩৩ জন
অনলাইন ডেস্ক: চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি আসনের বিপরীতে পাঁচজন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেবে ৩৩ জন শিক্ষার্থী।
বর্তমানে দেশে ৩৭টি সরকারি এবং ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ৬৯৭টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেলে চার হাজার ৩৫০টি আসন এবং বেসরকারি ছয় হাজার ৩৪৭টি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এই ১০৭টি মেডিকেল কলেজের ১০ হাজার ৬৯৭টি আসনের পেছনে ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ভর্তিচ্ছু অংশ নিচ্ছেন। এ বছর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মোট এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৩০ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। সারা দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের মোট আসন সংখ্যার হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়াই করবে ৩৩ জনেরও বেশি। সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে এ বছর ভর্তি পরীক্ষা হবে।
এদিকে এর আগে গত বছর রাজধানীসহ সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে গত বছর আবেদন করেছিলেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। গত বছর প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ২৮ জন ভর্তি–ইচ্ছুক।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে সারা দেশে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা জারি হয়েছে। বুধবার ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সহায়তা করতে বলা হয়।
গত বছরের মতো এবারও ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১ করে। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে এক ঘণ্টায়। পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হতে হবে। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।