ঢাকা | মে ৯, ২০২৫ - ১১:৫০ অপরাহ্ন

বইমেলায় সাড়ে ৫২ কোটি টাকার বিক্রি

  • আপডেট: Thursday, March 17, 2022 - 9:47 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: দীর্ঘ এক মাস পর পর্দা নামল বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলা। এবারের মেলায় ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ১৭ গুণ বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান মেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ।

পরিচালক বলেন, এবারের পুরো মেলায় বিক্রি হয়েছে ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই। তার মধ্যে বাংলা একাডেমিরই ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। প্রকাশকদের হিসাব অনুযায়ী গত বছর মেলায় তিন কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। সে অনুযায়ী এবার ১৭ গুণ বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছে।

এবারের মেলায় ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি হয়েছে জানিয়ে জালাল উদ্দিন বলেন, প্রকাশিত হয়েছে তিন হাজার ৪১৬টি নতুন বই। বাংলা একাডেমি পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী এবারের মেলায় মানসম্মত বই প্রকাশিত হয়েছে ৯০৯টি, যা মেলায় প্রকাশিত নতুন বইয়ের হিসাবে ২৫ শতাংশ।

এ সময় সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রমুখ।

এবারের মেলায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহামারি করোনার প্রকোপের কারণে ১৫ দিন পিছিয়ে শুরু হয় অমর একুশে বইমেলা। প্রাথমিকভাবে মেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলা হলেও করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় টানা সময়সীমা ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পুরো এক মাস চলার পর আজ পর্দা নামছে বাঙালির প্রাণের মেলা।

এদিকে প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু হলেও করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এবারের মেলা শুরু হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর বইমেলা দেরিতে শুরু করতে হলো। প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিল। যে কারণে দেরি করে শুরু করতে হলো।’

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় মোট ৩৫টি প্যাভিলিয়নসহ একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট- মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল এবারের মেলায়।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS