ঢাকা | মে ২০, ২০২৪ - ২:৩৯ পূর্বাহ্ন

চলন্ত গাড়িতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

  • আপডেট: Tuesday, March 15, 2022 - 4:42 pm

অনলাইন ডেস্ক: মানিকগঞ্জ থেকে জোরপূর্বক প্রাইভেট কারে তুলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আসার পথে সাবেক স্বামীসহ তার চার বন্ধু মিলে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত রোববার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাবেক স্বামী ও তার বন্ধুদ্ধের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হননি।

মামলায় প্রধান আসামি গৃহবধূর সাবেক স্বামী ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার টুটিয়াম গ্রামের সৈকত আলীর ছেলে আল-মামুন রশিদ (৩৮)। অন্য আসামিরা হলেন, বরিশাল বিমানবন্দর থানার গনপাড়া গ্রামের আব্দুল হাসেম মাঝির ছেলে আব্দুর রব মুন্না (৪৫), হাসু (৩৪) ও রিয়াজ (৩৫)।

মামলার সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ওই গৃহবধূর (৪৫) সঙ্গে ২০১৮ সালে অভিযুক্ত আল-মামুন রশিদের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এর আগে ২০১১ সালে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বিয়ে হয়েছিল ওই গৃহবধূর। ওই ঘরে তার তিন সন্তান রয়েছে। ওই স্বামী আরেকটি বিয়ে করার কিছুদিন পর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর তিনি আল-মামুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তাকে মারধর করতেন আল-মামুন। এ নিয়ে ২০২১ সালে তিনি মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত বছরের ১৫ নভেম্বর ওই গৃহবধূকে তালাক দেন আল-মামুন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, গত শনিবার বিকেলে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে মানিকগঞ্জ ঘিওর থানার সিনজুরী গ্রামে ফুপুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘিওর পাঁচ রাস্তার কাছে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছলে একটি সাদা প্রাইভেটকারে আল-মামুন ও তার তিন বন্ধু জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে নেন। এসময় রিয়াজ নামে এক যুবক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক কোমল পানির সঙ্গে নেশা জাতীয় কিছু পান করালে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

এরপর চলন্ত প্রাইভেটকারে আল-মামুন, আব্দুর রব মুন্না ও হাসু তাকে ধর্ষণ করেন। গাড়িটি পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে নদী পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া হয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে একটি ফাঁকা ভিটায় পৌঁছায়। সেখানে তাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। রাতে বাহাদুরপুর কালুর মোড় এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, গত রোববার ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। পরে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। গৃহবধূকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

সোনালী/জেআর