যমুনা চরে মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকেরা লাভবান
রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বগুড়া জেলার সারিয়াকন্দী, ধুনটে যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন সবজি চাষ করে দিন ফিরিয়ে এনেছেন কৃষকরা। সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, সারিয়াকান্দি, ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর অনাবাদি চরের জমিতে মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, চিনা বাদাম চাষ করছেন চাষিরা। ইতিমধ্যে চরে চাষ করা মিষ্টি কুমড়া বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। বাড়তি ফসল চাষ করে লাভবান হওয়ায় কৃষকেরা খুশি।
সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের খেপির পাড়া যমুনা নদী বিধৌত চরগ্রামে প্রায় ৮০ বিঘা অনাবাদি জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন আবুল মিয়া নামে এক কৃষক। নদীর চরে পলি পড়ায় এবার মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক ফলন হয়েছে।
আবুল মিয়া জানান, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গায় কাজে গিয়ে দেখতে পান তিস্তা নদীর চরে বালুকাময় জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদ। তিনি তা দেখে উদ্বুদ্ধ হন। ফিরে এসে নদীর চরে পলি পড়া জমিতে লাগান মিষ্টি কুমড়া। হাট শেরপুর ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে দোআঁশ মাটি সংগ্রহ করে এবং ৬ হাজার খরা (গাছ চাষের জন্য গর্ত) তৈরি করে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। প্রতিটি খরা তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে ১০০ টাকা।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চাষাবাদ করা হয়। মিষ্টি কুমড়ার ভাল ফলন পাওয়া গেছে। ধুধু চরেও ফসল ফলিয়ে ভাল লাভ করা যায় বলে এই কৃষক জানান। স্থানীয় চাষিরা ওই চরের বুকে কম্পোস্ট সার ও গোবর ছিটিয়ে দিয়ে চাষের উপযোগি করেন। অনাবাদি জমিকে আবাদি জমি হিসেবে তৈরি করেন। তৈরিকৃত ওই জমিতে দেশি ও হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন জাতের ফসল ফলিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেজাউল করিম জানান, যমুনার বুকে জেগে ওঠা চর এলাকায় ব্যাপকভাবে মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন জাতে শাক-সবজি আবাদ করেছেন স্থানীয় চাষিরা। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস থেকে চরের চাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।