করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সতর্কতা
অনলাইন ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি চলে যায়নি। এ অবস্থায় করোনার নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেছেন, ‘করোনা এখন রূপ বদলাচ্ছে। প্রথমে ডেল্টা, এরপর ওমিক্রন, এরপর নতুন কোনো ভাইরাস (ভ্যারিয়েন্ট) আসতে পারে। এ জন্য আমাদের আগে থেকে প্রস্তুত হতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুপুরে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকরাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ছিল। তাদের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।
করোনায় চিকিৎসকদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের চিকিৎসকরা মৃত্যুকে ভয় না করে রোগীর সেবা নিশ্চিত করেছেন। অন্য বাহিনীরাও তাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করেছেন। গোটা জাতির একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ায় মহামারি আটকানো সম্ভব হয়েছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করেছে। যে কারণে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেক কম হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসাব্যবস্থা থেকে শুরু করে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। করোনা কীভাবে এলো, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, কীভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, কীভাবে আমরা করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে পারি এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে করোনায় তুলনামূলক মৃত্যু কম হয়েছে। আমেরিকার মতো দেশে ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে, সে তুলনায় আমাদের এখানে মৃত্যু অনেক কম। শুরুর দিকে পিপিই, ল্যাব কিছুই ছিল না। দ্রুত সবগুলো করেছি। আমাদের ডাক্তার ও নার্সরা এবং অন্যান্য বাহিনীও নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশের সব বিভাগে মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। বার্ন ইউনিট হচ্ছে। নিউরোসায়েন্স, অর্থোপেডিক, স্কিন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবাও চলবে এখানে। মেডিকেল কলেজেও সিট বাড়লে পদ বাড়ে। গত পাঁচ বছরে মেডিকেল কলেজে ১ হাজার ২০০ সিট বাড়ানো হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে করে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি চিকিৎসকদের পদও বাড়বে। আজ সচিব কমিটিতে মেডিসিনে নতুন করে ১৮৩টি পদ বাড়ানো হয়েছে। পদায়ন নিয়ে চিকিৎসকেরা যে দাবির কথা তুলেছেন, সেটা আমরা যতটা সম্ভব করব।’