ঢাকা | ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ - ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ চাষ করে লাখোপতি দুর্গাপুরের শাহাদত

  • আপডেট: Thursday, March 10, 2022 - 9:21 pm

মিজান মাহী, দুর্গাপুর থেকে: দুর্গাপুর কৃষি অফিসের প্রণোদনার বীজ নিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ লাগিয়ে তাক লাগিয়েছেন কৃষক শাহাদত হোসেন। গত বছরও তাকে সবাই জানত সাধারণ কৃষক হিসেবে। কিন্ত কৃষি অফিসের সহায়তায় এবার ১৫কাঠা জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছিলেন। সেই পেঁয়াজ বিক্রি করে সে এখন লাখোপতি।

উচ্চ ফলনশীল এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ লাগিয়ে ইতিমধ্যে দুই লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। এখনও জমিতে রয়েছে পোক্ত আরও পেঁয়াজ। বাজারে পেঁয়াজের চড়া দাম হওয়ায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কৃষক শাহাদত দুর্গাপুর এলাকার হরিপুর গ্রামের কৃষক। তিনি গ্রীষ্মকালীন উচ্চ ফলনশীল এন-৫৩ জাতের পেয়াজ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। তাঁর ১৫কাঠা জমিতেই পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৮০০-১৯০০টাকা মণ দরে। এবছর বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষ করেই তিনি সাধারণ কৃষক থেকে লাখপতি বনেছেন।

দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, সংকটে বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সারা বছর জুড়েই। ফলে ঘাটতি মেটাতে কৃষি অধিদপ্তর নানা উদ্দ্যোগ নিচ্ছেন। কৃষকরাও উৎপাদন বাড়াতে নতুন জাতের পেঁয়াজ লাগাচ্ছেন। দুর্গাপুরসহ আশপাশের উর্বর জমিতে প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়। এরই অংশ দুর্গাপুর পৌর এলাকার হরিপুর গ্রাম। ওই গ্রামের কৃষক শাহাদত হোসেন গ্রীষ্মকালীন ১৫কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে তিনি পেঁয়াজের নতুন জাত এন-৫৩ প্রণোদনার বীজ পেয়ে ছিলেন। যার বিঘা প্রতি ফলন ২০০মন।

কৃষক শাহাদত হোসেন জানান, তার ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৫-১৮হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই তিনি দুই লাখ টাকার ওপরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। প্রতিমন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-১৯০০টাকা দরে। আরও কিছু পেঁয়াজ জমিতে আছে। সব মিলে প্রায় ১৫কাঠা মাটি থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হবে। শাহাদত বলেন, গ্রীষামকালীন এন-৫৩ জাতটা এই এলাকায় নতুন। কৃষি অফিসের প্রণোদনা নিয়ে এ পেঁয়াজ চাষ করে ছিলেন। জমিতে একটু বেশি সময় লাগলেও ফলন হয় বাম্পার। তিনি আগামী এ পেঁয়াজের চাষ আরও বাড়াবেন। তার এই সাফল্য দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আশপাশের অনেক কৃষক।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের এন-৫৩ জাতটা নতুন। এর ফলন অধিক। বিঘা প্রতি ২০০মন হারে ফলন হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের চড়া দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। আমার ব্লক হরিপুর গ্রামে কৃষক শাহাদত ১৫কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। তার এই সাফল্যে অত্র এলাকার কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হয়ে বেশি করে পেয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এই উপজেলার পেঁয়াজ নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।