জুন থেকে বাজারে মিলবে না খোলা সয়াবিন
অনলাইন ডেস্ক: দেশের বাজারে সয়াবিন তেল এতদিন খোলা কেনা গেলেও আগামী জুন থেকে রান্নার অত্যন্ত জরুরি এই অনুষঙ্গ আর খোলা বিক্রি হবে না। একইভাবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর পাম তেলও খোলা পাওয়া যাবে না।
খোলা তেল নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করা সম্ভব নয় তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার আসন্ন রমজান উপলক্ষে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও আমদানি মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বৈঠকটি করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ’৩১ মের পরে সয়াবিন ও ৩১ ডিসেম্বরের পরে পাম তেল প্যাকেটজাত ব্যবস্থায় বিক্রি হবে। প্যাকেটজাত ব্যবস্থায় বিপণন নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’
নিত্যপণ্য নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে না জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, বাজারে কোনো ধরনের কারসাজি সরকার মানবে না। ইতোমধ্যে ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা এতে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’
‘বাজারের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী, জেলা প্রশাসক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ অন্যান্য সংস্থাকে বাজারে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’—যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, দেশে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে। রোজার মাসে আড়াই থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাহিদা থাকে। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ মেট্রিক টন তেল আমদানি করা হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছে ২.৩ মেট্রিক টন। অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের আমদানি প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন। তাই নতুন করে তেল আমদানির প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তেলের দাম সমন্বয় করতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতি লিটার তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ায় সরকার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা দাম ১৮০ টাকা করার প্রস্তাব দেয় আমদানিকারকরা। তবে সর্বশেষ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।