- 22Shares
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রোববার এক বিবৃতিতে তারা এই ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী ওয়াদায় বন্ধ পাটকলসমূহ খুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে আদমজি ব্যতিত কয়েকটি বন্ধ কারখানা চালু করেছিলেন। কিন্তু বিশ^ব্যাংকের দোসর অর্থমন্ত্রী, বর্তমান পাটমন্ত্রী ও কতিপয় আমলার কারসাজিতে এই প্রতিশ্রুতিকে এগিয়ে নেয়া যায়নি। তারা ষড়যন্ত্র করে লোকসানী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নত করে বন্ধ করার পায়তারা করেছেন। এটা বিএনপি-জামাত সরকারের গৃহীত নীতিমালারই অনুকরণ মাত্র।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পাটকল পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসি’র মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা, পাটক্রয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছে, যারা মৌসুমে পাট সরবরাহ করেনি, উৎপাদিত পাট পণ্য বিপননে কোনো ভূমিকা রাখেনি। যাদের কারণে ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্প লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাটকল বন্ধ করে কথিত গোল্ডেন হ্যান্ডসেক দ্বারা শ্রমিকদের বিদায় করা অমূলক। তারা বলেন, করোনার এই মহামারীর সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করবে এবং ব্যক্তি মালিকানা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করে একইভাবে তিনগুণ শ্রমিক ছাঁটাই করবে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পাট চাষ, পাটশিল্প এবং পাটজাত দ্রব্য ওতপ্রতভাবে জড়িত। ৫০ লক্ষ পাট চাষি, পাট শ্রমিক, পাট ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই পাটশিল্পের সাথে যুক্ত। এ অবস্থায় পাটকল বন্ধ করার আজগুবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পাটকলের পুরনো যন্ত্রাংশ বাতিল করে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রাংশ সংযোজন করে পাটকলগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর ও চালু রাখার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সোনালী/আরআর