ঢাকা | মার্চ ২৯, ২০২৪ - ১:০২ অপরাহ্ন

ন্যাটো পরিকল্পনা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত জেলেনস্কি

  • আপডেট: Tuesday, March 22, 2022 - 11:15 am

অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে আবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এবার বলছেন, কিয়েভের ন্যাটো পরিকল্পনা প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছেন তিনি। মঙ্গলবার আল জাজিরার লাইভ আপডেটে এ তথ্য দেওয়া হয়।

নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনে (ন্যাটো) যোগ দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন। দুই দেশের উত্তজেনা শুরুর মূল কারণ ছিল এটাই। রাশিয়া মূলত এই ইস্যুতেই নিরাপত্তা আশঙ্কার কথা জানিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ বাড়ায়। পরে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা হুঁশিয়ারি দেয়। প্রেসিডেন্ট পুতিনও তার কথা বার্তায় অনেকটাই যুদ্ধের ইঙ্গিত দেন।

২০০৮ সাল থেকে পশ্চিমাদের এই সামরিক জোটে ঢোকার কথা বলে আসছিল ইউক্রেন। যদি তা হত তাহলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটটি রাশিয়ার সীমান্তের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। তাই এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পুতিন। তার মতে, ন্যাটোর সঙ্গে ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক বাড়লে দেশটি ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি হয়ে উঠতে পারে, যা রাশিয়ার জন্য বড় হুমকি।

যদিও সোমবার প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি দাবি করেন, তার দেশের বাহিনী রাশিয়াকে উপসাগর থেকে অনেক দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। রুশ বাহিনী ‘ধীরে ধীরে’ অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে, আর তাদের প্রচেষ্টাকে এখনও পর্যন্ত ‘প্রতিহত’ করেছে আমাদের বাহিনী। খবর আল জাজিরা, বিবিসি ও সিএনএনের

রুশ বাহিনীকে তারা ‘দমিয়ে দিতে’ সক্ষম হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনের বাহিনী খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার আরেকটি বিমান ভূপাতিত করেছে।

এর আগে পুতিনকে আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমি তার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত আছি। আমি গত দুই বছর থেকেই মূলত রাজি ছিলাম। আমি মনে করি, আলোচনা ছাড়া এ যুদ্ধ শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য যে কোনো সুযোগ আমাদের ব্যবহার করতে হবে।

জেলেনস্কির মতে, যদি যুদ্ধ বন্ধের এক শতাংশ সুযোগও বর্তমান থাকে তবে গ্রহণ করতে হবে। কেননা, যুদ্ধের ময়দানে প্রতিদিনি নিরপরাধ লোকজন মারা যাচ্ছেন।

‘রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনীয়দের নির্মূল করার জন্য এসেছে’, যোগ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকে ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। অপরদিকে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনীয়রা।

সোনালী/জেআর