ঢাকা | এপ্রিল ২০, ২০২৪ - ১:০৫ অপরাহ্ন

রাবি চিকিৎসা কেন্দ্র: ফি দিলেও মেলে না সেবা

  • আপডেট: Sunday, December 11, 2022 - 8:12 pm

অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি। তবে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসক। এতে করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারী শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকার ফলে গাইনি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের বিভিন্ন মেয়েলি সমস্যার সময় চিকিৎসার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসক প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গাইনি চিকিৎসকের পদ থাকলেও কোনো চিকিৎসক নেই। ফলে বাধ্য হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ বা অন্যান্য জায়গা থেকে তাদের সেবা নিতে হচ্ছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তারা বলছেন, প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বার্ষিক ফি নিচ্ছেন কিন্তু তারা সেই অনুপাতে সেবা পাচ্ছেন না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদা কনক বলেন, মেয়েদের অনেক সমস্যা থাকে। এর মধ্যে অনিয়মিত মাসিক, পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা উল্লেখযোগ্য সমস্যা। যা একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া কেউ দিতে পারে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গাইনি ডাক্তার না থাকায় এই ধরনের সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে আমরা কোনো সমাধান পাই না। ভালো চিকিৎসা পেতে যেতে হয় প্রাইভেট হাসপাতালে। ফলে আমরা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী পূজা দেবনাথ বলেন, প্রত্যেকটি মেয়েকে পিরিয়ড চলাকালীন বিভিন্ন জটিলতায় ভুগতে হয়। এসব সমস্যার চিকিৎসার জন্য একজন গাইনি চিকিৎসক জরুরি। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কোনো গাইনি চিকিৎসক নেই। ফলে আমরা চিকিৎসা ফি দিয়েও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা বাইরেও ট্রিটমেন্ট করাতে পারে না।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের নানা জটিলতা থাকে। যেগুলো তারা পুরুষ চিকিৎসকের কাছে বলতে পারেন না। কিন্তু আমাদের মেডিকেল সেন্টারে কোনো গাইনি চিকিৎসক নেই। এতে শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত মেডিকেলে দ্রুত একজন নারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. তবিবুর রহমান শেখ বলেন, আমাদের এখানে নারী বিশেষজ্ঞের পদ আছে। কিন্তু চিকিৎসক নেই। ইউজিসি থেকে নিয়োগ বন্ধ থাকায় আমরা চিকিৎসক নিয়োগ দিতে পারছি না। আশাকরি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে। বর্তমানে আমরা বিকল্প হিসেবে চালাচ্ছি। তবে নিয়োগ হলে আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এটা সত্যি যে মেয়েদের জটিল কোনো রোগের চিকিৎসা আমাদের মেডিকেল সেন্টারে নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। সেজন্য চাইলেও নিয়োগ দিতে পারছি না। তবে আমি ডাক্তারদের সঙ্গে মিটিং করেছি। সেখানে তাদের আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা বলেছি। জাগো নিউজ।

সোনালী/জেআর