ঢাকা | মার্চ ২৯, ২০২৪ - ১২:৪৭ অপরাহ্ন

১৭ থেকে ৩১ মার্চ টিকা পাবে সোয়া তিন কোটি মানুষ

  • আপডেট: Wednesday, March 16, 2022 - 7:46 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন (১৭ মার্চ) উপলক্ষে টিকা দানের নতুন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দুই কোটি ডোজ এবং বাকিটা প্রথম ও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে।

বুধবার রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে অবহিতকরণ সভায় তিনি এ তথ্য বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আট কোটির ওপরে এখনো টিকা মজুদ আছে। ইতিমধ্যে ১২ কোটি ৬২ লাখ প্রথম ডোজ দিয়েছি। ৯ কোটি চার লাখ দিয়েছি দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ দিয়েছি প্রায় ৫০ লাখ। সব মিলে আমাদের হয়ে গেছে প্রায় ২২ কোটির বেশি টিকা দেওয়া।

এ সময় দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর চার মাস পার হলেই এখন থেকে বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার নিয়ম ছিল দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পরে বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে ৬ মাস না, চার মাস পরেই বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে। আমরা আহ্বান করব যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া চার মাস হয়ে গেছে তারা এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। আপনারা আসবেন বুস্টার ডোজ নেবেন এবং আরও বেশি ভালো থাকবেন। ’

যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর চার মাস পার হয়ে গেছে এবং এখনো এসএমএস পান নাই তাদের ক্ষেত্রে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়ার মেয়াদ চার মাসে এনেছি। এখন যদি কেউ এসএমএস না পায় তাকেও বুস্টার ডোজ দিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্ড দেখিয়ে তিনি বুস্টার নিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধ্যাপক ডা. মীরজালী সেরিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন, অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, প্রশাসন, অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, এমএন্ডপিডিসি, সিডিসি ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, ফাইলেরিয়াসিস নিমূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।