ঢাকা | এপ্রিল ২৪, ২০২৪ - ২:৫২ পূর্বাহ্ন

বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া নারীকে হত্যা, ২ আসামি গ্রেফতার

  • আপডেট: Saturday, July 23, 2022 - 2:52 pm

অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া রোকসানা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে র‌্যাব ১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

১৮ জুলাই সোনারগাঁ থানাধীন সাদীপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী দেওয়ান বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া এক সন্তানের জননী রোকসানা বেগমকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০ জুলাই ভিকটিমের ছোট ভাই মো. এনামুল হক (২৫) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২২ জুলাই রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি সোনারগাঁয়ের বাইশটেকীর মৃত রাইজ উদ্দিনের ছেলে মো. মনির হোসেন (৪৫) ও মো. আমির হোসেনকে (৪০) মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার ভবেরচর এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম রোকসানা বেগমের স্বামীর সঙ্গে তার বিগত ৭/৮ বছর আগে নিয়ম মোতাবেক বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে ভিকটিম তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছোট ভাই মো. এনামুল হকের (২৫) বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। তিনি জীবিকার জন্য উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী গ্রামের দেওয়ান বাড়িতে জামদানী শাড়ী তৈরির কাজ করতেন। সেই সুবাদে ওই বাড়ির মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৪৫) এর সঙ্গে ভিকটিম রোকসানা বেগম (৩২) এর দীর্ঘদিনের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ভিকটিম বিয়ের ব্যাপারে মনির হোসেনকে চাপ দিলে আসামি মনির তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেয়।

গত ১৫ জুলাই মনিরের মেয়ের বিয়ে হলে, ভিকটিম গত ১৮ জুলাই বিয়ের দাবিতে মনিরের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এসময় মনিরের বাড়ির লোকজন তাকে একাধিকবার বাড়ির বাইরে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেয়। ভিকটিম তার অনড় থাকায় মনির হোসেন, তার ভাই গোলজার, খোকন ওরফে খোকা, ছেলে রানা, মনিরের স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমকে লোহার পাইপ, লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। মুমূর্ষ অবস্থায় ভিকটিমকে মনির হোসেন ও তার সহযোগীরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। ভিকটিমের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর মনির ও তার সহযোগীরা লাশ রেখেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সোনালী/জেআর